Model Activity Task |
Model Activity Task Class 8 Geography Question and Answers Part 6
PDF Download :
Model Activity Task Class 8 Questions PDF Download 👉 : Click here
model activity task class 8 geography part 6 model activity task class 8 geography part 6 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক class 8 পরিবেশ ও ভূগোল part 6 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক class 8 geography part 6 2021 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক class 8 geography part 6 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক class 8 geography part 6
Question And Answers:
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো ঃ
১.১ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো -
(ক) নিরক্ষীয় অঞ্চল - সূর্যের তির্যক রশ্মি
(খ) নিরক্ষীয় অঞ্চল - বায়ুর উচ্চচাপ
(গ) মেরু অঞ্চল - বায়ুর উচ্চচাপ
(ঘ) মেরু অঞ্চল - সূর্যের লম্ব রশ্মি
উত্তরঃ (গ) মেরু অঞ্চল - বায়ুর উচ্চচাপ
১.২ উত্তর আমেরিকার আলাস্কা যে জলবায়ুর অন্তর্গত তা হলো -
(ক) ক্রান্তীয় জলবায়ু
(খ) লরেন্সীয় জলবায়ু
(গ) ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু
(ঘ) তুন্দ্রা জলবায়ু
উত্তরঃ (ঘ) তুন্দ্রা জলবায়ু
১.৩ দক্ষিণ আমেরিকার লাপ্লাটা নদী অববাহিকায় অবস্থিত বিস্তীর্ণ তৃণভূমি হলো -
(ক) গ্রানচাকো
(খ) পম্পাস
(গ) ল্যানোস
(ঘ) সেলভা
উত্তরঃ (খ) পম্পাস
২. বাক্যটি সত্য হলে 'ঠিক' এবং অসত্য হলে 'ভুল' লেখো ঃ
২.১ রাত্রিবেলা স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে সমুদ্রবায়ু প্রবাহিত হয়।
উত্তরঃ ভুল
২.২ আপেক্ষিক আর্দ্রতার সাথে উষ্ণতার সম্পর্ক ব্যস্তানুপাতিক।
উত্তরঃ ঠিক
২.৩ জুলাই-আগস্ট মাসে আর্জেন্টিনা গ্রীষ্মকাল বিরাজ করে।
উত্তরঃ ভুল
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও ঃ
৩.১ সব মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় না কেন?
উত্তরঃ বায়ুতে ভাসমান জলীয় বাষ্প ঘনীভবন প্রক্রিয়ায় সর্বপ্রথম জলকণায় পরিণত হয়। দেড় থেকে তিন কোটি জলকণা যুক্ত হলে তা বৃষ্টিকণায় পরিণত হয়, যা ভূপৃষ্ঠে ঝরে পড়ে। কিন্তু সব মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় না। তার কারণগুলি হল-
(i) জলকণার ব্যাস : প্রতিটি মেঘকণার গড় ব্যাস 0.02 মিমির কম বা 10-15 মাইক্রন।1.5 কোটি থেকে 3 কোটি মেঘকণার সংযুক্তি ঘটলে জলকণার ব্যাস 0.5-2 মিমি বা তার বেশি হয়, যেগুলি মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে পৃথিবীপৃষ্ঠে ঝরে পড়ে। সবসময় জলকণার ব্যাস 0.5 বা তার বেশি হয় না, ফলে সেগুলি অধঃক্ষিপ্ত হয় না।
(ii) স্বল্প আপেক্ষিক আর্দ্রতা : বায়ুব আপেক্ষিক আর্দ্রতা 100 % বা তার অধিক না হওয়া পর্যন্ত তার জলধারণ ক্ষমতা থাকে। তখন বৃষ্টিপাত হয় না।
(iii) জলকণার, সংযুক্তিকরণের অভাব : বায়ুমণ্ডলে মেঘগুলি বিক্ষিপ্তভাবে ভেসে থাকলে মেঘকণাগুলি সংযুক্ত হওয়ার সুযােগ পায় না। বড়াে জলকণায় পরিণত হয় না। এর উপর অভিকর্য টান থাকে না। ফলে বৃষ্টিপাত হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয় না।
৩.২ 'আমাজন অববাহিকার ক্রান্তীয় বৃষ্টিঅরণ্য দুর্গম প্রকৃতির' - ভৌগোলিক কারন ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ নিরক্ষরেখার উভয় পাশে বিশেষত আমাজন নদী অববাহিকায় অধিকাংশ স্থান জুরেই 'চিরহরিৎ বৃক্ষের বনভূমি' দেখা যায়। এখানে সারাবছর প্রচুর উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাত হয়। বার্ষিক গড় উষ্ণতা ২৫ °সে.- ২৭ ° সে., বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৫০ সেমি - -৩০০ সেমি। কোনাে কোনাে স্থানে প্রায় ১০০০ সেমিরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়। এখানে ঘন চিরহরিৎ গাছের বনভূমির সৃষ্টি হয়েছে। এই অবণ্যকে ক্রান্তীয় বৃষ্টি অরণ্য বলে।
আমাজন নদী অববাহিকা জুড়ে অবস্থিত এই অরণ্য পৃথিবীর বৃহত্তম ও নিবিড়তাম ক্রান্তীয় বৃষ্টি অবণ্য, যা আয়তনে ভারতীয় উপমহাদেশের দ্বিগুণেরও বেশি। এখানকার আয়তনে ভারতীয় উপমহাদেশের দ্বিগুণেরও বেশি। এখানকার গাছগুলাের পাতা বড়াে ও শক্ত। গাছগুলাে ঘন সন্নিবিষ্ট হওয়ায় অবণ্যের তলদেশে সূর্যের আলাে পৌছাতে পাবে না। যেন মনে হয় অবণ্যের ওপবটা চাঁদোয়ার (Canopy) মতাে ঢাকা আছে। এই অরণ্যে বৃক্ষ শ্রেণির গাছের সাথে সাথে লতানাে পরজীবী গাছ প্রচুর পরিমাণে জন্মায়।
সূর্যের আলাে পৌঁছােতে না পারায় এই অরণ্যের তলদেশ স্যাতস্যাতে প্রকৃতির। দুর্গম ও অপ্রবেশ্য সেলভা অরণ্যের এই পরিবেশে ফার্ন , ছত্রাক, শৈবাল ও বিভিন্ন ধরনের আগাছার সাথে সাথে বিষাক্ত অ্যানাকোনডা সাপ, ট্যারানটুলা মাকড়সা, মাছি, মাংসাশী পিঁপড় , রক্তচোষা বাদুড়, জোঁক প্রভৃতি জীবজন্তু দেখা যায়। এছাড়া এই অঞ্চলের নদীতে মাংসাশী পিরানহা মাছ , কুমির দেখা যায়।
৪. চিত্রসহ শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি বর্ণনা করো।
উত্তরঃ শৈল কথার অর্থ পাহাড়, আর ক্ষেপ এর অর্থ হলাে উপরে ওঠা। জলীয়বাষ্পপূর্ণ আর্দুবায় ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় বায়ুপ্রবাহের গতিপথে উঁচু পাহাড়- পর্বত-মালভূমি থাকলে বায়ুপ্রবাহ সেখানে বাধা পায় এবং উঁচু পাহাড়-পর্বত-মালভূমির গা বেয়ে উপরে উঠে যায়। উপরের শীতল বায়ুর সংস্পর্শে সেই জলীয় বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ বায়ু শীতল ও ঘনীভূত হয়ে পর্বত বা মালভূমির প্রতিবাত ঢালে (বায়ুমুখী ঢালে) বৃষ্টিপাত রূপে নেমে আসে। শৈলরাশির অবস্থিতির জন্য বৃষ্টিপাত সংঘটিত হওয়ার দরুন এই বৃষ্টিপাতকে শৈলৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত বলে।
জলীয়বাষ্প পূর্ণ আর্দ্রবায়ু ভূপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় যদি কোনাে উঁচু পাহাড়, পর্বত বা মালভূমিতে বাধাপ্রাপ্ত হয় তবে ওই বায়ু পর্বত বা মালভূমির গা বেয়ে আরও ওপরে ওঠে এবং উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে ক্রমশ শীতল হয়। পাহাড়ের উঁচু অংশ যদি বরফাবৃত থাকে তাহলে জলীয় বাষ্পপূর্ণ ওই বায়ু বরফের সংস্পর্শে এসে অথবা উঁচুতে ওঠার ফলে এমনিতেই আরাে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে পাহাড়ের প্রতিবাত ঢালে বা বায়ুমুখী ঢালে শৈলােৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায়।
শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত |
No comments:
Post a Comment