Breaking

[Question & Answer] SSC 2021 Accounting 2nd week


SSC assignment 2021 Accounting 2nd week
ssc assignment


মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক যে সমস্ত অ্যাসাইনমেন্ট ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দেওয়া হয়েছিল, সেই সমস্ত প্রশ্নের নির্ভুল এবং যুক্তিসম্মত উত্তর আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে এই সমস্ত উত্তর গুলিকে ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

  মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যে সমস্ত অ্যাসাইনমেন্ট ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী, এসএসসি ও HSC ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দেওয়া হয়েছে, সেই সমস্ত প্রশ্নের নির্ভুল এবং উন্নতমানের উত্তর আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে এই সমস্ত উত্তর গুলিকে ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমেও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আশাকরি, আমাদের এই প্রচেষ্টাটি সকল ছাত্র ছাত্রীরা খুবই আগ্রহের সহিত গ্রহন করবে। অনুমান করা যেতে পারে যে, 2021 সালের সমস্ত পরীক্ষা (যেমন: এসএসসি, HSC) গুলিতে এই অ্যাসাইনমেন্ট থেকেই প্রশ্ন আসবে তাই এই এসাইনমেন্ট গুলি ভালভাবে প্র্যাকটিস করা এবং নোট খাতায় লিখে স্কুলে জমা দেওয়া খুবই জরুরী।


ssc assignment 2021 accounting answer 2nd week accounting assignment ssc 2021 1st week ssc assignment 2021 1st week pdf download ssc assignment 2021 1st week answer accounting assignment ssc 2021 answer accounting ssc assignment 2021 3rd week accounting answer ssc assignment 2021 finance and banking answer 2nd week ssc assignment 2021 accounting answer pdf"
টেলিগ্রাম চ্যানেল অনুসরণ করুন (4k)

ইউটিউবে লাইভ উত্তর (36k)

মাধ্যামিক পরামর্শ অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করুন

ডাউনলোড অ্যাপ্লিকেশন


প্রশ্নোত্তর:

SSC Accounting Assignment Answer 2021 2nd Week 


জাবেদার ধারণা : 

   লেনদেন সংঘটিত হওয়ার সাথে সাথে আমাদেরকে যতটুকু সম্ভব লেনদেনের বিশদ বিবরণ লিপিবদ্ধ করতে হয়। লেনদেনের এই বিবরণ প্রাথমিকভাবে প্রথম জাবেদায় লিপিবদ্ধ করা হয়। লেনদেনের ডেবিট ও ক্রেডিট পক্ষ বিশ্লেষণ করে তারিখের ক্রমানুসারে ব্যাখ্যা সহকারে জাবেদাতে লিখে রাখা হয় | পরবর্তী সময়ে হিসাবের পাকা বই খতিয়ান প্রস্তুতের ক্ষেত্রে জাবেদা সহায়ক হিসেবে কাজ করে।যার কারণেই জাবেদাকে হিসাবের প্রাথমিক বই বলা হয় | জাবেদা বই সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক নয় কিন্তু হিসাব তৈরির সুবিধার্থে জাবেদা প্রয়ােজন। জাবেদায় লিপিবদ্ধ থাকার কারণে হিসাবে লেনদেন বাদ পড়ার সম্ভাবনা বহুলাংশেযুস পায়। 


জাবেদার গুরুত্ব :

   প্রতিষ্ঠানের হিসাবের বই নির্ভুল ও স্বচ্ছ হওয়া অত্যাবশ্যক। এই হিসাবের ভিত্তিতেই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ফলাফল ও সার্বিক আর্থিক অবস্থা নিরূপণ করা হয়। হিসাববিজ্ঞানের মুখ্য এই উদ্দেশ্য অর্জনে জাবেদা কীভাবে সহায়ক ভূমিকা পালন করে, তা সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলাে : 

    ১. লেনদেন লিপিবদ্ধকরণ: প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য লেনদেন সংঘঠিত হয়। এই লেনদেন সংঘঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খতিয়ানে লিপিবদ্ধ করা সম্ভব না-ও হতে পারে। জাবেদায় লেনদেন লিপিবদ্ধ থাকলে পরবর্তীতে খতিয়ানে অন্তর্ভুক্তকরণে কোনাে অসুবিধা হয় না। 

    ২. লেনদেনের মােট সংখ্যা ও পরিমাণ জানা : খতিয়ান হতে নির্দিষ্ট দিনে,সপ্তাহে বা মাসে কয়টি লেনদেন সংঘঠিত হয়েছে তা জানা সম্ভব নয়। জাবেদায় লেনদেন তারিখের ক্রমানুসারে লিখা হয় বলে নির্দিষ্ট তারিখে,সপ্তাহে বা মাসে মােট কয়টি লেনদেন ঘটেছে তা সহজেই জানা যায়। মােট কত টাকার লেনদেন বিভিন্ন সময়ে হয়েছে, তা -ও জাবেদা থেকে জানা সম্ভব। 

    ৩. দ্বৈত সত্তার প্রয়ােগ নিশ্চিত: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুযায়ী লেনদেন সংশ্লিষ্ট ডেবিট ও ক্রেডিট পক্ষ একত্রে জাবেদায় লিখা হয় ফলে জাবেদা হতে দ্বৈত সত্তার প্রয়ােগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।

    ৪. লেনদেনের ব্যাখ্যা : লেনদেন সম্পর্কিত কোন সন্দেহ বা প্রশ্ন দেখা দিলে জাবেদা হতে তার ব্যাখ্যা পাওয়া সম্ভব। কারণ জাবেদা বইতে লেনদেন লিপিবদ্ধের পাশাপাশি লেনদেন সংঘটিত হওয়ার কারণ ও ব্যাখ্যা উল্লেখ করা হয়।

    ৫. ভুল-ত্রুটি হ্রাস: লেনদেন খতিয়ানে অন্তর্ভুক্তির পূর্বে জাবেদায় লিখা হলে হিসাবে ভুল ত্রুটি ও খতিয়ানে বাদ পড়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। 

    ৬. ভবিষ্যৎসূত্র : জাবেদায় লেনদেনসমূহকে তারিখের ক্রমানুসারে সুশৃঙ্খলভাবে সাজিয়ে লিখে রাখা হয়। ভবিষ্যৎ যেকোনাে প্রয়ােজনে জাবেদা দলিল প্রমাণস্বরূপ ব্যবহার করা যায়। 

     ৭. পাকা বহির সহায়ক : জাবেদা খতিয়ানের সহায়ক বইস্বরূপ কাজ করে বিধায়, খতিয়ান প্রস্তুত সহজ, পরিচ্ছন্ন ও নির্ভুল হয়


(খ) বিশেষ জাবেদার শ্রেণিবিভাগকরণ: 

   ব্যবসায়ের প্রায় সমস্ত লেনদেনই নিচে উল্লেখিত কোনাে একটি বিশেষ জাবেদায় লিখা হয়। 

    ১. ক্রয় জাবেদা : ক্রয় জাবেদায় প্রতিষ্ঠানের সকল বাকিতে পণ্য ক্রয় লিপিবদ্ধ করা হয়। 

    ২. বিক্রয় জাবেদা : বিক্রয় জাবেদায় প্রতিষ্ঠানের সকল বাকিতে পণ্য বিক্রয় লিপিবদ্ধ করা হয়। 

    ৩. ক্রয় ফেরত জাবেদা : বাকিতে ক্রয়কৃত পণ্য ফেরত দেওয়া হলে কয় ফেরত জাবেদায় লিপিবদ্ধ করা হয়।

    ৪. বিক্রয় ফেরত জাবেদা : বাকিতে বিক্রয়কৃত পণ্য ফেরত পাওয়া গেলে বিক্রয় ফেরত জাবেদায় লিপিবদ্ধ করা হয়। 

    ৫. নগদ প্রাপ্তি জাবেদা : যে সকল লেনদেনের দ্বারা নগদ প্রাপ্তি ঘটে (নগদ পণ্য বিক্রয়সহ), তা নগদ প্রাপ্তি জাবেদায় লিপিবদ্ধ করা হয়। 

    ৬. নগদ প্রদান জাবেদা : যে সকল লেনদেনের দ্বারা নগদ প্রদান ঘটে (নগদ পণ্য ক্রয়সহ), তা নগদ প্রদান জাবেদায় লিপিবদ্ধ করা হয়। 


(গ) প্রকৃত জাবেদার শ্রেণিবিভাগকরণ: 

   সাধারণ জাবেদা ও প্রকৃত জাবেদা একই অর্থবােধক যে সকল লেনদেন বিশেষ জাবেদায় অন্তর্ভুক্ত হয় না সে সকল লেনদেন প্রকৃত জাবেদায় অন্তর্ভুক্ত হয়। 

     ১. সংশােধনী জাবেদা : লেনদেন লিপিবদ্ধকরণে কোনাে ভুল সংঘটিত হলে হিসাবে কাটা-ছেড়া করে ঠিক করা যায় না। জাবেদা দাখিলার মাধ্যমে উক্ত ভুল সংশােধন করতে হয়। ভুল সংশােধনের জন্য যে জাবেদা দাখিলা প্রদান করা হয়, তা-ই সংশােধনী জাবেদা।

    ২. সময় জাবেদা : আর্থিক ফলাফল নিরূপণের জন্য আর্থিক বিবরণী প্রস্তুত করা হয়। আর্থিক বিবরণী প্রত্যুতের সময় বকেয়া বা অগ্রিম খরচ প্রাপ্য অথবা অগ্রিম প্রাপ্ত আয়, অবচয় বা অবলােপন, কুঋণ সঞ্চিতি ইত্যাদি লেনদেনের প্রাথমিক হিসাব বইতে অন্তর্ভুক্তির জন্য যে জাবেদা প্রস্তুত করা হয়, তাই সমম্বয় জাবেদা। 

    ৩, সমাপনী জাবেদা : কোন নির্দিষ্ট বছরের মুনাফা জাতীয় আয় ও ব্যয় পরবর্তী বছরের হিসাবে কোনাে প্রভাব ফেলবে না। তাই আর্থিক বিবরণী প্রতুতের সময় মুনাফা জাতীয় আয় ও ব্যয় হিসাবসমূহ বন্ধ করে দিতে হয়। হিসাব অধ্যায়ে আমরা জেনেছি, আয় হিসাব ক্রেডিট ও ব্যয় হিসাব ডেবিট উদ্বৃত্ত প্রকাশ করে। মুনাফা জাতীয় আয় ও ব্যয় হিসাব বন্ধ করার জন্য আয় হিসাব ডেবিট ও ব্যয় হিসাব ক্রেডিট করতে হবে। তাছাড়া সমাপনী জাবেদার মাধ্যমে উত্তোলন হিসাবও বন্ধ করা হয়। 

    ৪. প্রারম্ভিক জাবেদা : ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিগত বছরের হিসাবকালের শেষ দিনের সম্পদ, দায় ও মালিকানা স্বত্বের পরিমাণ পরবর্তী বছরের শুরুতে হিসাবে নিয়ে আসার জন্য প্রারম্ভিক দাখিলা প্রদান করা হয়। 

    ৫. অন্যান্য জাবেদা : বিশেষ জাবেদার লেনদেনসমূহ এবং প্রকৃত জাবেদার উল্লিখিত চার ধরনের লেনদেন ছাড়াও ব্যবসায়ে কতিপয় লেনদেন সম্পন্ন হয়, যেমন- ধারে সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়,বাট্টা প্রদান ও বাট্টা প্রাপ্তি, পণ্য বিতরণ প্রভৃতি। এসব লেনদেনও প্রকৃত জাবেদায় লিপিবদ্ধ হয়।

No comments:

Post a Comment