model activity task |
Model Activity Task Class 11 Geography Question and Answers Part 2
PDF Download :
Model Activity Task Class 11 Questions PDF Download Click here
Question And Answers:
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে :
১. পৃথিবীর উৎপত্তি বিষয়ে ল্যাপল্যাসের মতবাদটি ব্যাখ্যা করাে।
উত্তরঃ
ভূমিকা : পৃথিবী হল সুবিশাল সৌরজগতের সামান্য একটি গ্রহ। অতিপ্রাচীন কাল থেকেই এই পৃথিবীর উৎপত্তির ইতিহাস জানার জন্য পৃথিবীর কৌতুহলের শেষ নেই। আর তাই বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে নানা তত্ত্ব, মতবাদ, ধারণা প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন তত্ত্বের মধ্যে ল্যাপল্যাসের নীহারিকা মতবাদ উল্লেখযােগ্য।
ল্যাপল্যাসের নীহারিকা মতবাদঃ ফরাসি জ্যোতিবিজ্ঞানী ল্যাপল্যাস ১৭৯৬ সালে পৃথিবীসহ পুরাে সৌরপরিবারের উৎপত্তি সম্পর্কে তার বিখ্যাত নীহারিকা মতবাদটি উপস্থাপন করেন।
মতবাদের ধারণা : ল্যাপল্যাস মনে করেন প্রথম থেকেই আদিবস্তু চেনাসমূহ একটি উত্তপ্ত গ্যাসীয় পিন্ডের আকারে ঘূর্ণায়মান ছিল, যাকে নীহারিকা বলে। পরবর্তি কালে এই নীহারিকাটি এমন শীতল ও সংকুচিত হতে নীহারিকার মধ্যভাগে অভিকর্ষজ বল ও কেন্দ্ৰবহিমুখীবল পরস্পর সমান হয়।
এরপর নীহারিকা যখন আরও সংকুচিত হয় তখন তার বলয়াকার অংশ সংকোচনে অংশগ্রহন না করে ওজন শূন্য অবস্থায় নিজের জায়গায় স্থিরভাবে ভাসতে থাকে। এর ফলে নীহারিকায় কেন্দ্রীয় অংশ থেকে দূরে ভেসে থাকা সেই বলয়টি স্থানে স্থানে ভেঙে যায় এবং ভাঙা অংশগুলি কালক্রমে একত্রিত ও ঘনীভূত হয়ে এক একটি গ্রহ সৃষ্টি করে। এই গ্রহগুলির মধ্যে আমাদের পৃথিবী একটি। নীহারিকার কেন্দ্রীয় অংশ সূর্যরূপে অবস্থান করে।
সমালােচনা :
প্রথমত, ল্যাপল্যাস নীহারিকার যে ঘূর্নন বেগের কথা বলেছেন সেটা অবাস্তব। কারন সৌরজগতের সকল জ্যোতিষ্কের কৌনিক ভববেগ যােগ করেও প্রাথমিক নীহারিকার ঘূর্ণনেয় সমান হবে না।
দ্বিতীয়ত, জে, সি, ম্যাক্রওয়েলের মতে নীহারিকার থেকে বিচ্ছিন্ন পদার্থগুলির ভর এতই কম যে, পদার্থগুলি মহাকর্ষ বলের মধ্যমে কেন্দ্রীভূত হয়ে গ্রহ সৃষ্টি করা অসম্ভব।
তৃতীয়ত, ল্যাপল্যাসের মতে - গ্রহের তুলনায় সূর্যের কৌনিক ভরবেগ বেশি, কিন্তু বাস্তবে গ্রহগুলির মােট কৌনিক ভরবেগ এবং সূর্যের তুলনা অনেক বেশি।
২. ভূ-অভ্যন্তর সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্যের উৎসগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
উত্তরঃ পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগটা দেখতে কেমন, সে সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান একেবারে সীমিত। পৃথিবীর ব্যাসার্ধ ৬৩৭০ কিমি। তাই মানুষের পক্ষে পৃথিবীর কেন্দ্রে গিয়ে সরাসরি পর্যবেক্ষণ ও তথ্যসংগ্রহ করা অসম্ভব। তবে বর্তমানে বিভিন্ন উপায়ের মাধ্যমে ভূ-অভ্যন্তর ভাগের রহস্য জানা গেছে এবং ভবিষ্যতে আরও নতুন তথ্য জানায় চেষ্টা চলছে।
ভূ-অভ্যন্তর সম্পর্কে তথ্যের উৎসঃ প্রকৃতপক্ষে যেসবের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রীহিত হয়, সেগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা - প্রত্যক্ষ উৎস ও পরােক্ষ উৎস।
(১) প্রত্যক্ষ উৎস; - সরাসরি পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে আমরা যে সব তথ্য পায়, সেগুলাে প্রত্যক্ষ উৎসের অন্তভূক্ত। যেমন -
(ক) খনিঃ ভূ-অভ্যন্তর সম্পর্কে জানায় একটি উৎস খনি। পৃথিবীর গভীরতম খনির গভীরতা ৩ থে ৪ কিমি, তাই এত কম গভীরতায় পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে জানার জন্য খুবই নগন্য।
(খ) অগ্ন্যুৎপাতঃ অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে গলিত ম্যাগমা যখন বাইরে বেরিয়ে আসে, তখন এগুলাে নিয়ে পরিক্ষা - নিরীক্ষা করে দেখা হয় যে এই ম্যাগমাগুলি কোন গভীরতা থেকে এসেছে।
(গ) সমুদ্রগর্ভে ড্রিলিংঃ বর্তমানে বিজ্ঞানীরা সমুদ্রগর্ভে Drilling বা গর্ত করে ভূ-অভ্যন্তর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে। এর উপর দুটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যথা - Deep Ocean Drilling Project IT: Integrated Ocean Drilling Project.
(২) পরােক্ষ উৎসঃ
(ক) পৃথিবীর ঘনত্ব : পৃথিবীর গড় ঘনত্ব ৫.৫ গ্রাম/ঘনসেমি। পৃথিবীর উপরি ভূত্বকের গড় ঘনত্ব ২.২ - ২.৯ গ্রাম/ঘনসেমি। কেন্দ্রমন্ডলের ঘনত্ব ৯.১ - ১৩.১ গ্রাম/ঘনসেমি। অর্থাৎ ভূ-পৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রে বেশি ঘনত্বযুক্ত লােহা, নিকেল কোবাল্ট প্রভৃতির আধিক্য রয়েছে।
(খ) ভূ-অভ্যন্তরের উষ্ণতা : ভূ-গর্ভের গভীরতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণতা ও বৃদ্ধি পায়। এভাবে উষ্ণতা বাড়তে বাড়তে কেন্দ্রমন্ডলের উষ্ণতা ৬০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস পৌঁছায়। উষ্ণতার পার্থক্যের জন্য ভূ-অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন পদার্থের অবস্থান লক্ষ্য করা যায়।
(গ) ভূ-অভ্যন্তরের চাপ : উষ্ণতা ও ঘনত্বের মতােই ভূ-গর্ভের যত নীচে যাওয়া যায় ততই চাপ বৃদ্ধি পায়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, উপরিস্থিত পদার্থ সমূহের ক্রমবর্ধমান চাপ এবং পৃথিবীর কেন্দ্রে বেশি ভারী পদার্থের উপস্থিতির জন্য এই ভাবে ভূ-অভ্যন্তরস্থ চাপ ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।
৩. বিভিন্ন স্তর ও বিযুক্তরেখাসহ ভূ-অভ্যন্তরের চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করাে।
উত্তরঃ
৪. সিয়াল ও সিমার মধ্যে পার্থক্য নিরুপণ করাে। কেন্দ্রমন্ডলের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে।
উত্তরঃ সিয়াল ও সিমার মধ্যে পার্থক্যগুলি নীচে আলােচনা করা হল -
(i) সিয়াল ভূ-ত্বকের ওপরের সবচেয়ে হালকা অংশ; আর সিমা ভূত্বকের নীচের ভারী অংশ।
(ii) সিয়ালকে মহাদেশীয় ভূ-ত্বক বলে; তবে সিমাকে মহাসাগরীয় ভূ-ত্বক বলে।
(iii) সিয়াল স্তর Silica এবং Aluminium দিয়ে গঠিত; কিন্তু সিমা স্তর Silica এবং Magnesium দিয়ে গঠিত।
(iv) সিয়াল স্তরের গড় ঘনত্ব ২.২ গ্রাম/ঘনসেমি; আর সিমা স্তরের গড় ঘনত্ব ২.৯ গ্রাম/ঘনসেমি।
(v) সিয়াল স্তর গ্রানাইট জাতীয় আম্লিক শিলা দ্বারা গঠিত; আর সিমা স্তর ব্যাসল্ট জাতীয় ক্ষারকীয় শিলা দ্বারা গঠিত।
কেন্দ্রমন্ডলের বৈশিষ্ট্য : নীচে কেন্দ্রমন্ডলের প্রধান পাঁচটি বৈশিষ্ট্য আলােচনা করা হল -
গভীরতা : কেন্দ্রমন্ডল পৃথিবীর কেন্দ্রের চারিদিকে প্রায় ৩৪৭১ কিমি বিস্তৃত।
উষ্ণতা : এই স্তরের উষ্ণতা অত্যন্ত বেশি, প্রায় ৬০০০ডিগ্রী সেলসিয়াস বা তারও বেশি।
উপাদান : এই স্তরটি প্রধানত দুটি উপাদান, যথা, লােহা ও নিকেল।
ঘনত্ব : তিনটি স্তরের মধ্যে এর ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। যথা ৯,১ থেকে ১৩,১ গ্রাম / ঘনসেমি।
চাপ : তিনটি স্তরের মধ্যে কেন্দ্রমন্ডলে চাপ সবচেয়ে বেশি। এখানে পদার্থের চাপ থাকে প্রায় ৩৫০০ কিমি।
Official APK Download :
madhyamik suggestion 2021 all Subjects
No comments:
Post a Comment