Breaking

Model Activity Task Class 10 Bengali Answer (part-3) (Question, Answer)

পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক যে সমস্ত মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দেওয়া হয়েছিল, সেই সমস্ত প্রশ্নের নির্ভুল এবং যুক্তিসম্মত উত্তর আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে এই সমস্ত উত্তর গুলিকে ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশাকরি, আমাদের এই প্রচেষ্টাটি সকল ছাত্র ছাত্রীরা পছন্দের সহিত গ্রহন করবে। অনুমান করা যেতে পারে যে, 2021 সালের সমস্ত পরীক্ষা (যেমন: মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক) গুলিতে এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক থেকেই প্রশ্ন আসবে। তাই আমাদের তরফ থেকে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এইটাই নিবেদন থাকবে যে তোমরা এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর প্রশ্ন এবং উত্তর গুলো ভালো করে প্র্যাকটিস করবে।

Class 10 All Subjects




Model Activity Task Class 10 Bengali Answer (part-3)

FOLLOW TELEGRAM CHANNEL (4k)

LIVE ANSWERS ON YOUTUBE (36k)

DOWNLOAD MADHYAMIK SUGGESTION APP

DOWNLOAD MODEL ACTIVITY TASK APP


1. তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়।- 'বহরুপী গল্পের আলােকে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
উওর:  প্রশ্ন উদ্ধৃত অংশটি সুবোধ ঘোষের লেখা বহুরূপী গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
   বহুরূপী গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা হরিদা বহুরূপী শব্দের একটি নির্দিষ্ট দিনে হরিদ্বার কখনো কখনো পুলিশ কাপালিক পাগল সন্ন্যাসী ও বাইজি সেজে যা উপার্জন করে তা দিয়ে সে তার সংসার চালায় এর মধ্যে দিয়ে প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ হরিদার চরিত্রে ব্যক্তিত্ব ও আত্মমর্যাদার স্ফুটন ঘটিয়েছেন । সে কারণে অভাবে তার দিনরাত দগ্ধ হলেও নিজের বহুরূপী পেশা ত্যাগ করেননি।

Model Activity Task Apk Download : 👉👉 Click Here 👈👈

   একদিন হরিদা তার বন্ধু ভবতোষ কে জানায় সে জগদীশ বাবুর বাড়িতে গিয়ে তিনি কিছু টাকা উপার্জন করবেন। তিনি তার বন্ধুদের জগদীশ বাবুর বাড়িতে থাকতে বলে।
   জগদীশ বাবুর বাড়িতে হরিদা অভিভূত হন বিরাগী সন্ন্যাসীর সাজে। তার আপ্যায়নের জন্য অহংকারী জগদীশবাবু বারান্দা থেকে নেমে না আসায় হরিদা তাকে তীব্র ভৎসনা করে বলেন আপনি কি ভগবানের চেয়েও বড় ? তারপর জগদীশবাবু নিজের অপরাধ স্বীকার করে সেবা করতে চাইলে বিরাগী হরিদা নিজের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য ঠান্ডা জল চেয়ে নেন। জগদীশবাবুর দিকে নিজের বাড়িতে থাকার অনুরোধ করলে তা প্রত্যাখ্যান করে। বিরাগীর কাছে জগদীশবাবু কিছু উপদেশ শুনতে চাইলে বিরাগী দৃঢ়তা র সঙ্গে জানিয়ে দেন ধন যৌবন সবই অস্থায়ী।
   ঈশ্বরের আপন হলে সৃষ্টির সব ঐশ্বর্য সহজেই পাওয়া যায়। বিদায় বেলা জগদীশবাবু বিরাগী কে একশো টাকা দিতে চাইলে বিরাগী তাও প্রত্যাখ্যান করে চলে যায়।
   বিরাগী রুপি হরিদা কে তার বন্ধুরা চিনতে না পারলেও ঘরে ফিরে মাদুরের ওপর রাখা উত্তরীয় এবং ঝোলা দেখে তাদের ভুল ভেঙে যায়। তখন তার বন্ধুরা হরি দা কে জিজ্ঞেস করে জগদীশবাবু তোমাকে 100 টাকা দিতে চেয়েছিল কিন্তু তুমি নিলেনা কেন? হরিদা তখন স্পষ্ট জানিয়ে দেয় আমি বিরাগী সেজে গিয়েছিলাম। বিরাগীদের টাকা পয়সা ধন সম্পত্তির ওপর কোনো লোভ থাকে না। তাই আমি টাকা নেই নি আর হরিদা বলে আমি যদি টাকা নিয়ে নিতাম তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যেত।
2. 'ঘুচাব এ অপবাদ, বধি রিপুকুলে।- বক্তা কে? কোন অপবাদের কথা তিনি বলেছেন? উক্ত অপবাদ ঘােচানাের জন্য তিনি কীভাবে প্রস্তুত হলেন ?
উওর:  আলোচ্য উদ্ধৃতাংশ টি দত্তকুলোদ্ভব কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা মেঘনাথ বধ কাব্যের প্রথম সর্গের অন্তর্গত অভিষেক পাঠ্যাংশ নিজের আচরণ কে ধিক্কার জানিয়ে রাবণ পুত্র ইন্দ্রজিৎ এই উক্তি করেছেন ।
   স্বর্ণালঙ্কার চরম দুর্দিনে প্রমোদ কাননে নিজের বিলাস বাসনে মত্ত থাকাকেই মেঘনাথ অপবাদ বলে মনে করেছেন।
   অপবাদ ঘোচানোর জন্য বীর মেঘনাথ বীর আবরণে যুদ্ধের সাজে সেজে ওঠেন। যেমনভাবে উমার পুত্র কার্তিক তারকাসুর বধ কালে সেজেছিলেন ঠিক তেমনভাবে মেঘনাদও বিলাসবাসন ত্যাগ করে যুদ্ধের সাজে সেজে ওঠে। তখন ইন্দ্রজিতের মনে তীব্র যুদ্ধের উন্মাদন। তিনি শীঘ্র রথ আনার নির্দেশ দেন। স্ত্রী প্রমীলাকে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লঙ্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। মেঘনাদের লঙ্কা যাত্রার সময় আকাশ-বাতাস কম্পিত হয়ে ওঠে।

Model Activity Task Apk Download : 👉👉 Click Here 👈👈

   লঙ্কায় পৌঁছে শোকাহত পিতাকে যুদ্ধযাত্রা থেকে বিরত করে রাঘব বধের অনুমতি নিয়ে তিনি নিজে পুত্র মেঘনাদ কে গঙ্গা জল দ্বারা অভিষেক করে সেনাপতি পদে নিযুক্ত করেন।
3. 'তোমাদের কাছে আমি লজ্জিত।'— বক্তা কাদের কাছে কেন লজ্জিত তা সিরাজদ্দৌলা নাট্যাংশ অনুসরণে আলােচনা করাে।
উওর:  আলোচ্য নাট্যাংশ টি শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের লেখা সিরাজউদ্দৌলা নাট্যাংশ প্রধান চরিত্র সিরাজ-উদ-দৌলা ফরাসি প্রতিনিধি মসিএ লা সহ ফরাসিদের কাছে স্বয়ং লজ্জিত বলেছেন।
    ফরাসিরা খুবই শান্ত, নিরীহ মানুষ । তারা সিরাজউদ্দৌলার অনুমতি নিয়ে বাংলায় ব্যবসা-বাণিজ্য করে। বাংলার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র ছিল চন্দননগর। কিন্তু ইংরেজরা নবাবের অনুমতি না নিয়ে চন্দননগরে ব্যবসা-বাণিজ্য আরম্ভ করে। এর ফলে ফরাসিদের এবং ইংরেজদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ইংরেজরা জোরপূর্বক ফরাসিদের ঘাঁটি দখল করে নেয়। ফরাসি প্রতিনিধি মসিএ লা এই আক্রমণের প্রতিবাদ জানিয়ে নবাবের সাহায্য প্রার্থনা করেন। কয়েকদিন আগে বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা যুদ্ধ করার ফলে নবাবের লোকবল এবং অর্থবল উভয়ই এতটাই কমে গিয়েছে যে ফরাসিদের ইংরেজদের প্রতিহত করার ক্ষমতা তার আর ছিল না । তাই তিনি ফরাসিদের কাছে লজ্জিত বলে জানিয়েছেন।
4. ওই ভাঙা-গড়া খেলা যে তার কিসের তবে ডর?- কবির এই মন্তব্যটি কোন ইঙ্গিতবাহী ?
উওর:  আলোচ্য উদ্ধৃতিতে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা প্রলয়োল্লাস কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
   কবিতায় কবি জগতের সৃষ্টি ও বিনাসকে ভাঙ্গা গড়ার খেলা বলে অভিহিত করেছেন। মহাকাল রুদ্রদেব একধারে পালক ও সংহারক। তিনি নতুন সৃষ্টির আগে প্রলয় নেশায় মেতে ওঠে বিনাশ করেন। মহাকালের তাণ্ডবের পর নতুনের সৃষ্টি হয়

Model Activity Task Apk Download : 👉👉 Click Here 👈👈

   তেমনি ভাবে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানোর জন্য কবি প্রলয় দেবের আবির্ভাবের কামনা করেছেন। তিনি দেখেছেন ইংরেজ সরকার কিভাবে সাধারণ মানুষদের ওপর অন্যায় অত্যাচার ও অবিচার করে। তাই কবি দেশকে মুক্ত করার জন্য তরুণসমাজকে আহ্বান জানিয়েছেন। তরুণসমাজ মহাকালের বেশে এসে যাতে ভারতবর্ষকে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত করে। কবি সত্য,শিব ও সুন্দরের পূজারী, ভারতবর্ষের তরুণ বিপ্লবীদের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা এই অন্ধকার নৈরাজ্যের অবসান চায়। তাই তারা মেতে ওঠে প্রলয়ের আনন্দে। কারন তাদের স্থির বিশ্বাস এই যে ধ্বংসের পরে আসবে নতুন সৃষ্টি। সৃষ্টির আশ্বাসে, প্রলয়ের নেশায় তরুণ দল মেতে ওঠে বলেই তাদের ভাঙ্গা-গড়ার খেলায় কোন ভয় নেই।
5. 'বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে, কিন্তু শখ ষোলআনাই বজায় আছে। বাবুটি কে? তার স্বাস্থ্য এবং যােলােআনা শখের পরিচয় দাও।
উওর:  আলোচ্য উদ্ধৃতাংশ টি অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা পথের দাবী থেকে নেওয়া হয়েছে। বাবু টি হল পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে পুলিশ স্টেশনে আটকে রাখা গিরীশ মহাপাত্র।
    গিরিসের স্বাস্থ্য:- গিরিশ মহাপাত্রের বয়স তিরিশ বত্রিশ বছরের বেশি নয়। কিন্তু ভীষণ রোগা। রং তামাটে বর্ণের। তাকে নিমাই বাবুর সামনে আনা হলে তিনি কাঁপতে কাঁপতে প্রবেশ করেন। দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত লোকটির অদ্ভুত চোখের দৃষ্টি। মনে হয় কাশতে কাশতে তিনি তার শরীরের মায়া ত্যাগ করবেন।
    সাজসজ্জা:- গিরীশ মহাপাত্রের মাথার সামনের বড় বড় চুল থাকলেও ঘাড় ও কানের কাছে চুল নেই বললেই চলে। চেরা সিঁথি কাটা চুলগুলি উগ্র লেবুতে নিষিক্ত। গিরীশ মহাপাত্রের গায়ে জাপানি সিল্ক এর রামধনু রং এর পাঞ্জাবি , পরনে কালো পাড়ের ধুতি পরা, বুকপকেটে বাঘ আঁকা রুমাল, পায়ের সবুজ মোজাটি লাল ফিতে দিয়ে বাঁধা। লোহার নাল দিয়ে বাঁধানো পাম্প সু, হাতে একটি হরিণের শিং এর হাতল দিয়া দেওয়া বেতের ছরি। পকেটের মধ্যে রয়েছে কল কে। নিমাইবাবু গিরীশ মহাপাত্রের বেশভূষা পরিপাটি র প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ই এই উক্তিটি করেছেন।

3 comments: