Breaking

[2ND Series] Model Activity Task class 8 Bengali Part 5 Answer


[2ND Series] Model Activity Task class 8 Bengali Part 5
Model Activity Task


পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক যে সমস্ত মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দেওয়া হয়েছিল, সেই সমস্ত প্রশ্নের নির্ভুল এবং যুক্তিসম্মত উত্তর আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে এই সমস্ত উত্তর গুলিকে ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 আশাকরি, আমাদের এই প্রচেষ্টাটি সকল ছাত্র ছাত্রীরা পছন্দের সহিত গ্রহন করবে। অনুমান করা যেতে পারে যে, 2021 সালের সমস্ত পরীক্ষা (যেমন: মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক) গুলিতে এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক থেকেই প্রশ্ন আসবে তাই আমাদের তরফ থেকে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এইটাই নিবেদন থাকবে যে তােমরা এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর প্রশ্ন এবং উত্তর গুলাে ভালাে করে প্র্যাকটিস করবে।

Model Activity Task Class 8 Bengali Question and Answers Part 5

PDF Download :

Model Activity Task Class 9 Questions PDF Download 👉 :  Click here


model activity task class 8 math part 5 model activity task class 8 2021 bengali model activity task class 8 part 5 model activity task class 8 bengali pdf model activity task class 8 geography part 5 model activity task class 8 bengali part 5


FOLLOW TELEGRAM CHANNEL (4k)

LIVE ANSWERS ON YOUTUBE (36k)

DOWNLOAD MADHYAMIK SUGGESTION APP

DOWNLOAD MODEL ACTIVITY TASK APP


Question And Answers:

নীচের প্রশ্নগুলি উত্তর দাও :


১. 'দাঁড়াও' কবিতায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আততি কীভাবে ধরা দিয়েছে?

উত্তরঃ  মানবিকবােধ সম্পন্ন কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় দাড়াও' কবিতায় মনুষ্যত্ব, বিবেকবােধ ইত্যাদি। গুণসম্পন্ন মানুষকে অসহায় মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ানাের আহ্বান জানিয়েছেন। কবির একমাত্র প্রার্থনা যে, যেকোনাে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হােক কিংবা নিঃসঙ্গতা, অসহায়তায় হােক মানবিকতার বােধ থেকে মানুষ যেন মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়, নিঃসঙ্গতার সঙ্গী হয়, ব্যথিত মানুষের সমব্যাথী হয়ে ওঠে। পাশে দাঁড়াও' বা পাশে এসে দাঁড়াও' এই শব্দগুলি যথাক্রমে ৩ বার করে মােট ৬ বার কবি এই কবিতায় ব্যবহার করেছেন। এর মধ্য দিয়ে কবি মানুষের লুকিয়ে থাকা অন্তর-মানবিক চেতনাকে জাগ্রত করে পাঠকমনকে মানবতাবােধে উদ্বুদ্ধ করেছেন।


২. 'লাঠি ধরলে বটে!' - বক্তা কে? কার সম্পর্কে তার এই উক্তি? উক্তিটির মধ্য দিয়ে তার কোন্‌ মনোভাবের পরিচয় পাও?

উত্তরঃ  উক্তিটির বক্তা হলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা 'পল্লীসমাজ' উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র পিরপুরের প্রজা আকবর। তিনি রমেশের সম্পর্কে এই উক্তিটি করেছেন। উক্তিটির মধ্য দিয়ে একজন প্রকৃত লাঠিয়াল আকবরের, রমেশ যার কাছে সে পরাজিত হয়েছিল তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রস্ফুটিত হয়েছে। তার লাঠিচালনায় আকবর মুগধ হয়েছেন। রমেশের লাঠির আঘাতে সে আহত হয়, তার মাথা দিয়ে রক্ত ঝরে, কিন্তু সে থানায় গিয়ে নালিশ জানাতে রাজি নয়। কারণ তার আত্মসম্মানবােধ প্রবল এবং সে জানে রমেশ নিজের স্বার্থে নয়, গ্রামবাসীদের স্বার্থে লাঠি ধরেছে। তাই তার কাছে পরাজিত হয়েও তার কোনাে আক্ষেপ নেয়।


৩. 'প্রাণ আছে, প্রাণ আছে' - 'ছন্নছাড়া' কবিতায় এই আশাবাদ কীভাবে ধ্বনিত হয়েছে?

উত্তরঃ  একটি বেওয়ারিশ ভিখিরি গাড়ি চাপা পড়ায় একদল ছন্নছাড়া বেকার যুবক ফঁাকা ট্যাক্সি খুঁজছিল এবং সেটি পেয়ে যাওয়ায় গাড়িটিকে নিয়ে তাড়াতাড়ি তারা ঘটনাস্থলে যায়। রক্ত-মাংসে দলা পাকিয়ে যাওয়া ভিখিরির শরীরটিকে তারা পাজাকোলা করে তুলে নেয় ট্যাক্সিতে। শরীরটি তােলার সময়ই তারা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে চেঁচিয়ে ওঠে – শরীরটিতে এখনও প্রাণ আছে বুঝতে পেরে। এইভাবেই শহরের ইট-কাঠ-পাথরে পরিবেষ্টিত দয়া-মায়াহীন পরিবেশের মধ্যে থেকে একটি মায়া-মমতাপূর্ণ বিশ্বাসের উষ্ণ শঙ্খধ্বনি ধ্বনিত হয়ে ওঠে – “প্রাণ আছে, প্রাণ আছে" কথাগুলাের মাধ্যমে। কারণ, প্রাণ থাকলেই মর্যাদা থাকে এবং সমস্ত বাধা প্রতিবন্ধকতার বাইরেও থাকে অস্তিত্বের অধিকার। আলােচ্য কবিতায় এইভাবেই আশাবাদ ধ্বনিত হয়েছে।


৪. 'শিমুল গাছ অনেকে দেখিয়াছ।' - 'গাছের কথা' গদ্যাংশে শিমুল গাছের প্রসঙ্গ লেখক কীভাবে স্মরণ করেছেন?

উত্তরঃ 'গাছের কথা' গদ্যাংশে লেখক জগদীশচন্দ্র বসু গাছের বিভিন্ন লক্ষণ তুলে ধরেছেন। তিনি গাছের বীজ ছড়ানাের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়েছেন পাখিরা ফল খেয়ে দূর দূর দেশে বীজ নিয়ে যায়। ফলে অনেক জনমানবহীন দ্বীপেও গাছ জন্মে থাকে। এছাড়া অনেক সময় বীজ প্রবল বাতাসে উড়ে গিয়ে দূর দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রসঙ্গে তিনি শিমুল গাছের কথা স্মরণ করেছেন। শিমুল গাছের ফল রৌদ্রে ফেটে যাওয়ার পর তার বীজ তুলাের সঙ্গে উড়ে বেড়াতে থাকে।


৫. 'বিশ্বের বুক ফেটে বয়ে যায় এই গান - ' - কোন্‌ হতাশার কান্না বিশ্বজুড়ে বয়ে যায়?

উত্তরঃ কবি বুদ্ধদেব বসুর 'হওয়ার গান' কবিতার সমস্ত অংশ জুড়ে আছে হাওয়ার কথা। তাদের কোনাে বাড়ি নেই, তাই তারা কেঁদে মরে। তারা বাড়ির সন্ধান করেছে সর্বত্র, কিন্তু কোথাও তার খোঁজ মেলেনি। তাদের চোখে অন্যান্যদের গৃহস্থালির ছবি ধুরা পড়েছে, কিন্তু তাদের কোনাে নির্দিষ্ট বাড়ি নেই। তাই তাদের কোনাে বিশ্রামও নেই। তারা চিরকাল উদ্দাম ও উত্তাল। হাওয়াদের এই দুরবস্থা ও হতাশার কান্না বিশ্বজুড়ে বয়ে যায়।


৬. 'ছেলের কথা শুনেই বুকুর মা-র মাথায় বজ্রঘাত!' - বুকুর কোন্‌ কোথায় তার মা অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পড়লেন?

উত্তরঃ  আশাপূর্ণা দেবীর লেখা 'কী করে বুঝব' গল্পে বুকুর মুখে উত্তরপাড়া থেকে ছেনু মাসিরা এসেছেন শুনে বুকুর মা বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন অসময়ে বাড়িতে লােকের বেড়াতে আসা তিনি একদম পছন্দ করেন না। কিন্তু অতিথিদের সামনে এসে তিনি ভীষণ আনন্দের সঙ্গে তাদের অভ্যর্থনা জানান এবং এতদিন আসেননি কেন তা নিয়ে অভিমান প্রকাশ করতে থাকেন। মায়ের এই পরিবর্তন দেখে বুকু হঠাৎ সবার সামনে মায়ের সেই বিরূপ মন্তব্যগুলিকে বলতে শুরু করে। বুকুর এই কথাগুলাে শুনেই তার মা অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পরেন।


৭. 'পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি' কবিতায় গ্রামজীবন সম্পর্কে কবির যে অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে তার পরিচয় দাও।

উত্তরঃ পাড়াগাঁর দু-পহর ভালােবাসি' কবিতায় কবি গ্রামজীবনের অকৃত্রিম চিত্ররূপ এঁকেছেন। গ্রামজীবনের সঙ্গে কবির যেন আজন্ম নাড়ির বন্ধন। চালতার শাখার জলসিড়ির পাশে হেলে থাকা, মালিকহীন ঝাঁঝরা-ফেঁাপরা নৌকার হিজলে বাঁধা থাকা, দুপুরের শান্ত স্তব্ধতায় কবি গ্রাম্যজীবনের গল্প ও স্বপ্ন মাধুর্যের বেদনা অনুভব করেন। আর এসবের মধ্যে কবির আনন্দ-ঘন বেদনাস্বরূপ প্রকাশ পায়।


৮. 'এলাহি ব্যাপার সব।' - 'নাটোকের কথা' রচনাংশ অনুসরনে সেই এলাহি ব্যবস্থাপনার বিবরণ দাও।

উত্তরঃ  নাটোরের রাজবাড়িতে খাওয়াদাওয়ার এলাহি বন্মেবস্ত ছিল। খাদ্যতালিকা থেকে মাছ, মাংস, ডিম, মিষ্টি, পিঠে, পায়েস কিছুই বাদ ছিল না। হালুইকররা বাড়িতে বসেই এবেলা-ওবেলা নানারকম মিষ্টি তৈরি করে – এমনকি লেখকের আবদারে তাকে গরম সন্দেশ খাওয়াতে খাবারঘরের সামনেই হালুইকর বসে গেল। অতিথিদের জন্য স্বয়ং রানি মা নিজের হাতে পিঠে- পায়েস তৈরি করেন।


৯. 'গড়াই নদীর তীরে' কাব্যাংশে প্রকৃতিচিত্র কীভাবে উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে?

উত্তরঃ পল্লিকবি কবি জসীমউদ্দিনের লেখা 'গড়াই নদীর তীরে' কবিতাটি পল্লিপ্রকৃতির সহজ স্বাভাবিক রূপ নিয়ে চিত্রিত। প্রকৃতির এই অনাবিল সৌন্দর্যে আরােপিত কোনাে বাহ্য কৃত্রিমতা নেই। তাই কবিতায় পাওয়া যায় – কুটিরখানি যেন লতাপাতা আর ফুলের মায়ায় সমাচ্ছন্ন। মাচানের ওপর সিম-লতা আর লাউ-কুমড়াের ঝাড় আবৃত রয়েছে। সেগুলি ফুলে ফুলে রঙিন কোণে হাওয়ায় দুলছে। কবির ভাবনায় কবির ভাবনায় রঙিন এসব ফুল যেন হেসে লুটোপুটি হচ্ছে।

18 comments: