১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো:
১.১. ভবঘুরে কবিতায় শুকনো খড়ের আঁটি রয়েছে -

ক) অশ্বথু গাছের নিচে   খ ) মাঠে   গ) গোলাঘরে   ঘ) নৌকোর খলে ।

উত্তর - নৌকোর খলে

১.২. তাকে আসতে বলবে কাল - আসতে বলা হয়েছে -

ক) শংকর সেনাপতিকে   খ) অভিমন্যু সেনাপতিকে   গ) বিভীষণ দাস কে   ঘ) পঞ্চানন অপেরার মালিক কে

উত্তর - বিভীষণ দাস কে

১.৩. আকাশে নয়ন তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে -

ক) বুনো পাহাড়   খ) মরুভূমি   গ) প্রভাত সূর্য   ঘ) পাইন গাছ

উত্তর - পাইন গাছ

১.৪. 'যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো ' কাব্য গ্রন্থটির রচিয়তা -

ক) নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী   খ) অরুণ মিত্র   গ) শক্তি চট্টোপাধ্যায়   ঘ) অমিয় চক্রবর্তী

উত্তর- শক্তি চট্টোপাধ্যায়

১.৫. পূর্ববঙ্গের মাহুতের ভাষায় মাইল শব্দের অর্থ -

ক) পিছনে যাও   খ) সাবধান   গ) বস   ঘ) কাত হও

উত্তর - সাবধান ।

২. খুব সংক্ষেপে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ।
২.১. ও তো পথিকজনের ছাতা - পথীকজনের ছাতা কোনটি ?


উত্তর - নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ভরদুপুরে কবিতায় অশোথ গাছ টিকে পথিক জনের ছাতা বলা হয়েছে ।

২.২. এখানে বাতাসের ভিতর সবসময় ভিজে জলের ঝাপটা থাকে - কেনো এমনটি হয়?

উত্তর - শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা সেনাপতি শঙ্কর গল্পে উল্লেখিত আকন্দবাড়ী থেকে মাত্র 5 মাইল দূরে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত হওয়ায় এখানে বাতাসের ভিতর সব সময় ভিজে জলের ঝাপটা থাকে ।

২.৩. মন ভালো করা' কবিতায় কবি রোদ্দুর কে সঙ্গে তুলনা করেছেন?

উত্তর - মন ভালো করা কবিতা কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় রোদ্দুর কে মাছরাঙ্গা পাখির পায়ের বিচিত্র বর্ন বাহারের সাথে তুলনা করেছেন ।

২.৪. 'আমি কথা দিয়ে এসেছি - কথক কোন কথা দিয়ে এসেছেন?

উত্তর - কবি অরুণ মিত্র তার প্রিয় বন্ধু ঘাস ফড়িং কে কথা দিয়ে এসেছেন যে তিনি আবার তার কাছে ফিরে আসবেন ।

৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৩.১ ‘দাঁড়ায়ে রয়েছে পামগাছ মরুতটে।” - কে এমন স্বপ্ন দেখে? কেন সে এমন স্বপ্ন দেখে ?


উত্তর - পাইন গাছ এমন স্বপ্ন দেখে। পাইন এর মত পাম গাছ ও একেবারে একাকি দুজনের পরিবেশ সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু একাকিত্বের কারণে তাদের বেদনা একই রকম। তাই বরফের দেশের পাইন গাছ, মরুভূমির পাম গাছের স্বপ্ন দেখে।

৩.২. তাই তারা স্বভাবতই নীরব।' - কাদের কথা বলা হয়েছে? তারা নীরব কেন?

উত্তর - এখানে স্বভাবতই নীরব বলতে জঙ্গলের পশুদের কথা বলা হয়েছে। ক্যাস্টিং সাহেবের মতে পোষা জন্তু ও জঙ্গলের জন্তুর এর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। পোষা জন্তুরা জঙ্গলের জন্তুর থেকে অনেক বেশি চেঁচামেচি করে।
 
    উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, পোষা কুকুর কিংবা পোষা ঘোড়া অনেক বেশি চেঁচায়, তুলনায় জংলি কুকুর বা বুনো ঘোড়ার শব্দ খুব একটা শোনা যায় না। এর কারণ হলো পোষা প্রাণীরা বাড়ির পরিবেশে তারা খুশিমতো জোরে ডাকতে পারে। কিন্তু জঙ্গলের জন্তুরা বন্য পরিবেশে থাকার ফলে সব সময় এদের প্রাণ বাঁচিয়ে চলার একটা দায় থাকে। আত্মরক্ষার কারণে তাই তারা ইচ্ছেমতো জোর গলায় ডাকতে পারে না। তাই বন্যপ্রাণীরা স্বভাবগতভাবে নিরব প্রকৃতির হয় ।

৩.৩. এরা বাসা তৈরি করবার জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজতে বের হয়।' - উপযুক্ত স্থান খুঁজে নেওয়ার কৌশলটি ‘কুমোরে-পোকার বাসাবাড়ি’ রচনাংশ অনুসরণে লেখো।


উত্তর - কোন একটি বিশেষ জায়গা কোমর পোকার মনে ধরলে তারা বারবার এসে সেই জায়গাটিকে ভালো করে পরীক্ষা করে দেখে। তারপর কিছুটা দূর পর্যন্ত উড়ে গিয়ে ফিরে এসে আবার ওই জায়গাটি কে পরীক্ষা করে দেখে।
       জায়গাটি পছন্দ হলে বাসা তৈরীর জন্য কুমোর পোকার কাদামাটির প্রয়োজন হয়। যতটা কাছাকাছি সম্ভব জায়গা থেকে কাদামাটি জোগাড় করতে ও কুমোরে পোকার দু দিন কেটে যায়। কোন জায়গায় কাদামাটির খোঁজ পেলে তারা সেই জায়গা থেকে বাসা তৈরীর জন্য বেছে নেওয়া জায়গাটিতে বারবার যাতায়াত করে রাস্তাটি ভালোভাবে চিনে নেয়।

৪. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
৪.১ বিসর্গসন্ধিতে বিসর্গ রূপান্তরিত হয়ে 'র্' হচ্ছে - - এমন দুটি উদাহরণ দাও।

উত্তর - নি:+অতিশয়=নিরতিশয়

           নি:+লোভ=নির্লোভ

৪.২. বিসর্গসন্ধিতে বিসর্গ লুপ্ত হয়ে আগের স্বরধ্বনিকে দীর্ঘ করছে - এমন দু’টি উদাহরণ দাও।

উত্তর - তত:+অধিক=ততোধিক

           মন:+রম=মনোরম

৪.৩. উদাহরণ দাও - জোড়বাঁধা সাধিত শব্দ, শব্দখণ্ড বা শব্দাংশ জুড়ে সাধিত শব্দ।

উত্তর -
জোড়বাঁধা সাধিত শব্দ মহাশয়, ভোজনপ্রিয় শব্দাংশ জুড়ে সাধিত শব্দ- প্রিয়তম, ঝুলন্ত

৪.৪. সংখ্যাবাচক ও পূরণবাচক শব্দের পার্থক্য কোথায়?

উত্তর - যেসব শব্দ গণনার যোগ্য কোন সংখ্যাকে নির্দেশ করে থাকে, তাদের সংখ্যাবাচক শব্দ বলে। যেমন-তিরে তিনখানা নৌকা ভিড়ল। দশে মিলি করি কাজ। সংখ্যাশব্দ দ্বারা যখন কোন নির্দিষ্ট স্থান বা ক্রোম বোঝায়, অর্থাৎ সংখ্যাশব্দের একটি বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়, তাকে বলে পূরণবাচক শব্দ। যেমন-পঞ্চম দিন, বারোর দাগের অংক।