Breaking

[Question & Answer] SSC Bangladesh And Global Studies assignment 2021 2nd week


SSC Bangladesh And Global Studies assignment 2021
ssc assignment


মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক যে সমস্ত অ্যাসাইনমেন্ট ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দেওয়া হয়েছিল, সেই সমস্ত প্রশ্নের নির্ভুল এবং যুক্তিসম্মত উত্তর আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে এই সমস্ত উত্তর গুলিকে ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

  মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যে সমস্ত অ্যাসাইনমেন্ট ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী, এসএসসি ও HSC ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দেওয়া হয়েছে, সেই সমস্ত প্রশ্নের নির্ভুল এবং উন্নতমানের উত্তর আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে এই সমস্ত উত্তর গুলিকে ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমেও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আশাকরি, আমাদের এই প্রচেষ্টাটি সকল ছাত্র ছাত্রীরা খুবই আগ্রহের সহিত গ্রহন করবে। অনুমান করা যেতে পারে যে, 2021 সালের সমস্ত পরীক্ষা (যেমন: এসএসসি, HSC) গুলিতে এই অ্যাসাইনমেন্ট থেকেই প্রশ্ন আসবে তাই এই এসাইনমেন্ট গুলি ভালভাবে প্র্যাকটিস করা এবং নোট খাতায় লিখে স্কুলে জমা দেওয়া খুবই জরুরী।



টেলিগ্রাম চ্যানেল অনুসরণ করুন (4k)

ইউটিউবে লাইভ উত্তর (36k)

মাধ্যামিক পরামর্শ অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করুন

ডাউনলোড অ্যাপ্লিকেশন


প্রশ্নোত্তর:


SSC BGS Assignment Answer 2021 | 2nd week

  মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ও রাজনৈতিক দলসহ সকলের ভূমিকা মূল্যায়ন করে প্রতিবেদন আমার দাদা যিনি কিনা একজন মুক্তিযােদ্ধা তার কাছ থেকে আমি জানতে পারি যে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়েছিল। এই সরকার পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধকালীন কর্মকান্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধকে আরও বেগবান করেছিল। নিম্নে তা উপস্থাপন করা হলাে;

মুজিবনগর সরকার গঠন :

  মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনা, সুসংহত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বজনমত গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের প্রতিনিধিদের নিয়ে ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননুকে নামকরণ করা হয় মুজিবনগর। এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম সরকার। ঐ দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘােষিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষণা আদেশ'। মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল। শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

মুজিবনগর স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের কাঠামাে ছিল নিম্নরূপ:

১. রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

২. উপ-রাষ্ট্রপতি : সৈয়দ নজরুল ইসলাম (বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি)।

৩. প্রধানমন্ত্রী : তাজউদ্দীন আহমদ।

৪. অথমন্ত্রী : এম, মনসুর আলী।

৫. স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ; এ.এইচ.এম.কামারুজ্জামান।

৬, পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী : খন্দকার মােশতাক আহমেদ।

মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রম :

  মুজিবনগর সরকারের মােট ১২ টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ছিল। এগুলাে হলাে-প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়, সাধারণ প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ বিভাগ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন ও যুব ও অভ্যর্থনা শিবির নিয়ন্ত্রণ বাের্ড। মুজিবনগর সরকার বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহর-কলকাতা, দিলি, লন্ডন, ওয়াশিংটন, নিউইউর্ক, স্টকহােম প্রভৃতিতে বাংলাদেশ প্রকারের মিশন স্থাপন করেন। এসব মিশন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রচারণা ও আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে। ১০ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য সামরিক, বেসামরিক জনগণকে নিয়ে একটি মুক্তিযােদ্ধা বাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সরকার বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে ১১ জন সেক্টর কমান্ডার নিয়ােগ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে সরকারের অধীন বিভিন্ন বাহিনী ছাড়াও বেশ কয়েকটি বাহিনী দেশের অভ্যন্তরে স্বতঃস্ফুর্তভাবে গড়ে উঠেছিল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযােদ্ধাগণ মুজিবনগর সরকারের নেতত্বে দেশকে পাকিস্তানিদের দখলমুক্ত করার জন্য রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করেছেন, দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, অনেকে আহত হয়েছেন ।


মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ জনগণ ও পেশাজীবিদের ভূমিকা :

  ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ নিরস্ত্র জনগণের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আক্রমণ চালালে বাঙালি ছাত্র, জনতা, পুলিশ, ইপিআর সাহসিকতার সাথে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। দেশের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে অনেক মুক্তিযােদ্ধা শহীদ হন। অনেকে মারাত্মকভাবে আহত হন। মুক্তিযােদ্ধারা দেশকে শত্রুমুক্ত করার লক্ষ্যে মৃত্যুকে তুচ্ছ মনে করে যুদ্ধে যােগ দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিক, ইপিআর, পুলিশ, আনসার, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। সর্বস্তরের বাঙালি অংশগ্রহণ করেছিল বলে এ যুদ্ধকে 'গণযুদ্ধ' বা 'জনযুদ্ধও বলা যায়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ন্ত্রণকারী শক্তি ছিল জনগণ। তাই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র-ছাত্রী, পেশাজীবি, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশকে শত্রুমুক্ত করে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে।

স্বাধীনতা অর্জনে তৎকালীন সরকারের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অবদানঃ

  বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী প্রধান রাজনৈতিক দল হলাে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক নেতৃত্বই মুক্তিযুদ্ধের গতি-প্রকৃতি নির্ধারণ করে। আওয়ামী লীগ প্রথমে জনগণকে স্বাধিকার আন্দোলনে সংগঠিত করে। এরপর ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভের পর জনগণকে স্বাধীনতা অর্জনে উদ্বুদ্ধ করে। ফলে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে রাজনৈতিক নেতৃত্ব বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধুর ২৬শে মার্চের স্বাধীনতার ঘােষণাকে ১০ই এপ্রিল ১৯৭১ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করে। এতে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট, অপরিহার্যতা এবং এর ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণীত হয়। ২৫শে মার্চের পর রাজনৈতিক নেতৃত্ব সংগঠিত হয়ে সরকার গঠন, মুক্তবাহিনী গঠন, বিদেশে জনমত সৃষ্টি ও সমর্থন আদায়, যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ এবং জনগণের মনােবল অটুট রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব মুক্তিযুদ্ধকে সফল করার ক্ষেত্রে সকল শক্তি, মেধা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়।

  এছাড়াও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলাে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হচ্ছে- ন্যাপ (ভাসানী), ন্যাপ ( মােজাফফর), কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় কংগ্রেস ইত্যাদি। এসব দলের নেতা ও কর্মীরা অনেকেই সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।

No comments:

Post a Comment