Breaking

[Question & Answer] SSC Economics assignment 2021 1st week


SSC Economics assignment 2021 1st week
ssc assignment


মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক যে সমস্ত অ্যাসাইনমেন্ট ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দেওয়া হয়েছিল, সেই সমস্ত প্রশ্নের নির্ভুল এবং যুক্তিসম্মত উত্তর আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে এই সমস্ত উত্তর গুলিকে ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

  মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যে সমস্ত অ্যাসাইনমেন্ট ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী, এসএসসি ও HSC ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দেওয়া হয়েছে, সেই সমস্ত প্রশ্নের নির্ভুল এবং উন্নতমানের উত্তর আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে এই সমস্ত উত্তর গুলিকে ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমেও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আশাকরি, আমাদের এই প্রচেষ্টাটি সকল ছাত্র ছাত্রীরা খুবই আগ্রহের সহিত গ্রহন করবে। অনুমান করা যেতে পারে যে, 2021 সালের সমস্ত পরীক্ষা (যেমন: এসএসসি, HSC) গুলিতে এই অ্যাসাইনমেন্ট থেকেই প্রশ্ন আসবে তাই এই এসাইনমেন্ট গুলি ভালভাবে প্র্যাকটিস করা এবং নোট খাতায় লিখে স্কুলে জমা দেওয়া খুবই জরুরী।


ssc assignment 2021 1st week answer economics ssc assignment 2021 1st week pdf download economics assignment ssc 2021 ssc assignment 2021 economics 2nd week ssc assignment 2021 economics answer 2nd week ssc assignment 2021 1st week history answer ssc assignment 2021 1st week answer geography ssc assignment 2021 answer"
টেলিগ্রাম চ্যানেল অনুসরণ করুন (4k)

ইউটিউবে লাইভ উত্তর (36k)

মাধ্যামিক পরামর্শ অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করুন

ডাউনলোড অ্যাপ্লিকেশন


প্রশ্নোত্তর:


Economics Assignment Answer SSC 2021 | 1st Week 

"বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত ও সরকারি উদ্যোগ সম্মিলিতভাবেকাজ করে।"

 

ভূমিকাঃ 

  যে অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি মালিকানা ও বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বিরাজ করে তাকে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বলে। বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থা একটি মিশ্র অর্থ ব্যাবস্থা। কেননা বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি মালিকানার পাশাপাশি সরকারি ও ব্যবসরকারি উদ্যোগকে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম হয়ে থাকে। অর্থাৎ এ অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত ও সরকারি উদ্যোগ সম্মিলিত ভূমিকা পালন করে। কাজেই আমরা বলতে পারি, বাংলাদেশ অর্থব্যবস্থা একটি মিশ্র অর্থ ব্যাবস্থা। বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান। যথা-যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ভারত ইত্যাদি। 


বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ধারণাঃ 

ক) ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা (capitalistic Economy) :

  এই ব্যবস্থায় উৎপাদনের উপাদানগুলাে ব্যক্তিমালিকানাধীন এবং প্রধানত বেসরকারি উদ্যোগে সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বয়ংক্রিয় দামব্যবস্থার মাধ্যমে যাবতীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ ধরনের অর্থব্যবস্থাকে ধনতান্ত্রিক বা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা বলে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ফরাসি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সমগ্র ইউরােপে ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির সূত্রপাত ঘটে।


খ) সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বা নির্দেশমূলক অর্থনীতি (Socialistic or Command Economy): 

  সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে সমাজের অধিকাংশ সম্পদ ও উৎপাদনের উপাদানের উপর রাষ্ট্রের বা সমাজের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত থাকে। অধিকাংশ শিল্প-কারখানা ও উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের মালিক সরকার বা সমাজ এবং সেগুলাে সরকারি বা সামাজিক নির্দেশে পরিচালিত হয়ে থাকে। কোন কোন দ্রব্য, কী পরিমাণে, কীভাবে এবং কার জন্য উৎপাদিত হবে তা সরকার বা রাষ্ট্র নির্ধারণ করে। 

গ) মিশ্র অর্থব্যবস্থা :

 যে অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি মালিকানা ও বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বিরাজ করে তাকে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বলে। অর্থাৎ এ অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত ও সরকারি উদ্যোগ সম্মিলিত ভূমিকা পালন করে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান। যথা-যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, বাংলাদেশ ও ভারত ইত্যাদি। 


ঘ) ইসলামী অর্থব্যবস্থা: 

 ইসলামের মৌলিক নিয়ম-কানুনের উপর বিশ্বাসকে ভিত্তি করে গড়ে ওঠা অর্থব্যবস্থাকে ইসলামি অর্থব্যবস্থা বলা হয়। 


মিশ্র অর্থব্যবস্থা এর বৈশিষ্ট্যঃ 

ক) সম্পদের ব্যক্তিগত, সমবায় ও সরকারি মালিকানাঃ 

   মিশ্র অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অবাধে ভােগ করতে পারে ও ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে। পাশাপাশি গণদ্রব্য (মহাসড়ক) ও সেবা (স্বাস্থ্যসেবা) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রধানত সরকার পরিচালনা করে। 

খ) ব্যক্তিগত উদ্যোগঃ 

   বাটন ও ভােগসহ অধিকাংশ অর্থনৈতিক মিশ্র অর্থনীতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য, কার্যাবলি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংগঠিত ও পরিচালিত হয়। 

গ) সরকারি উদ্যোগঃ 

   মিশ্র অর্থনীতিতে ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করাহয়। দেশের যৌলিক ও ভারী শিল্প, জাতীয় নিরাপত্তা ও জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসমূহ সরকার পরিচালনা করে থাকে। 

ঘ) মুনাফা অর্জনঃ 

   মিশ্র অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয়। তবে তা অতিরিক্ত একচেটিয়া মুনাফা নয়। 

) আয় বৈষম্যঃ

   মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আয় বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করে।

চ) ভােক্তার স্বাধীনতা :

  এ ব্যবস্থায় ভােক্তা সাধারণ দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও ভােগের ক্ষেত্রে অবাধ স্বাধীনতা ভােগ করে। তবেসরকার প্রয়ােজন মনে করলে দ্রব্যের দামের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে এবং প্রয়ােজন অনুসারে কোনাে দ্রব্যের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যেমন- ধূমপান, মাদকদ্রব্য উৎপাদন ও ভােগ ইত্যাদি। 

ছ) যৌথ বিনিয়ােগঃ 

  মিশ্র অর্থব্যবস্থায় কোন সম্পদ উৎপাদনের ক্ষেত্রে যৌথভাবে বিনিয়ােগ করা সম্ভব হয়। বেসরকারি (এনজিও) এবং সরকারি উদ্যোগ পাশাপাশি বিরাজ করায় যৌথভাবে বিনিয়ােগ করা সম্ভব হয়। 

বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার তুলনামূলক সুবিধা ও অসুবিধাসমূহঃ

ক) ভােক্তার স্বাধীনতার ক্ষেত্রেঃ 

   ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় প্রত্যেক ভােক্তা তার নিজস্ব পছন্দ, ইচ্ছা ওরুচি অনুযায়ী অবাধে দ্রব্য ক্রয় ও ভােগ করতে পারে। অর্থাৎ পূর্ণ স্বাধীনতা বিরাজ করে। কিন্তু সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভােক্তারা সরকার ও কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা নির্ধারিত উৎপাদিত দ্রব্যাদি ভােগ করে থাকে। কোনাে ডােক্তা ইচ্ছাকৃত অর্থ ব্যয় করে বাজারকে প্রভাবিত করে কোনাে কিছু উৎপাদন ও ভােগ করতে পারে না। আবার মিশ্র অর্থব্যবস্থা ভােক্তা সাধারণত দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও ভােগের ক্ষেত্রে অবাধ স্বাধীনতা ভােগ করে। তবে সরকার প্রয়ােজন মনে করলে দ্রব্যের দামের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে এবং প্রয়ােজন অনুসারে কোনাে দ্রব্যের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। 

খ) সম্পদের মালিকানা ক্ষেত্রেঃ 

  সম্পদ বা উৎপাদনের উপকরণগুলাে ব্যক্তিমালিকানায় থাকে। ভােগ করে থাকে। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে অধিকাংশ সম্পদ (জমি, কলকারখানা, খুনি ইত্যাদি) ও উৎপাদনের উপাদানগুলাের মালিক হলাে সরকার, সমবায় প্রতিষ্ঠান, যৌথ সামাজিক দল ইত্যাদি। আবার মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যক্তি তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অবাধে ভােগ করতে পারে ও ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে। পাশাপাশি গণদ্রব্য (মহাসড়ক) ও সেবা (স্বাস্থ্যসেবা) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রধানত সরকার পরিচালনা করে। 

গ) প্রতিযােগিতার ক্ষেত্রেঃ

   সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় অবাধ অভাব রয়েছে। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগে উৎপাদন পরিচালিত হওয়ায় সেখানে বহুসংখ্যক বেসরকারি উদ্যোক্তার অবাধ প্রতিযােগিতা থাকে। কিন্তু ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনে প্রথমে অনেক ফার্ম অবাধে প্রতিযােগিতা করে। ফলে তখন দ্রব্যের দাম কম থাকে এবং নতুন নতুন আবিষ্কার সম্ভব হয়। 

ঘ) মুনাফা অর্জনের ক্ষেত্রেঃ

   ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদক সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনের জন্য উৎপাদন করে। মিশ্র কার্যক্রম পরিচালনা করার মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয় তবে তা অতিরিক্ত একচেটিয়া মুনাফা নয়। আর সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদন করা হয় সকল জনগণের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে। 

যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা টি ভালাে তার স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হলােঃ

   মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হচ্ছে সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট অর্থ ব্যবস্থা। কারণ, এ অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিমালিকানা ও বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে উৎপাদন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। বিশ্বে কোথাও বিশুদ্ধ ধনতন্ত্র বা বিশুদ্ধ সমাজতন্ত্র নেই। তাই অনেকে মিশ্র অর্থব্যবস্থাকে একটি উন্নত অর্থব্যবস্থা বলে মনে করেন। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। 

উপসংহারঃ

   মিশ্র অর্থনীতি মূলত ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির সংমিশ্রণ। এ অর্থনীতিতে ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক উভয় অর্থনীতির কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি বা সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি যে অর্থনীতির কথাই বলি না কেন কোনাে অর্থনীতিই ত্রুটিমুক্ত নয়। তাই অনেক দেশই অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। মিশ্র অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের ওপর কতগুলাে কাজ ছেড়ে দেওয়া হয়। আবার অনেক খাতের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা হয়। যেহেতু বাংলাদেশের অর্থ ব্যবস্থায় মিশ্র অর্থব্যবস্থার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হচ্ছে সুতরাং বলা যায় বাংলাদেশে মিশ্র অর্থনীতি বিরাজমান অর্থাৎ বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত ও সরকারি উদ্যোগ সম্মিলিতভাবে কাজ করে।

No comments:

Post a Comment