ssc assignment |
আশাকরি, আমাদের এই প্রচেষ্টাটি সকল ছাত্র ছাত্রীরা খুবই আগ্রহের সহিত গ্রহন করবে। অনুমান করা যেতে পারে যে, 2021 সালের সমস্ত পরীক্ষা (যেমন: এসএসসি, HSC) গুলিতে এই অ্যাসাইনমেন্ট থেকেই প্রশ্ন আসবে তাই এই এসাইনমেন্ট গুলি ভালভাবে প্র্যাকটিস করা এবং নোট খাতায় লিখে স্কুলে জমা দেওয়া খুবই জরুরী।
ssc assignment 2021 1st week ssc assignment 2021 bangla answer class 10 bangla assignment 2021 class 10 assignment 2021 1st week bangla ssc assignment 2022 bangla ssc assignment 2022 bangla answer ssc assignment 2021 1st week class 10 assignment 2021 1st week solution class 10 assignment 2021 1st week question class 10 assignment 2021 1st week bangla ssc assignment 2022 bangla answer ssc assignment 2021 pdf download class 10 bangla assignment 2022 class 10 assignment 2022 1st week
প্রশ্নোত্তর:
বাংলা এসাইনমেন্ট সমাধান এসএসসি ২০২২/1st Week
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের উপর দোশীল হয়ার গুরুত্ব।
বাকপ্রতিবন্ধী ভাতার পরিবার ও সমাজ থেকে যে আচরণ পেয়েছে তার বিবরণঃ
আমাদের দেশে প্রতিবন্ধী কোনাে-না-কোনােভাবে পরিবারের অবহেলার শিকার। তবে কোন পরিবারে বেশি, কোন পরিবারে কম। অবহেলার কারণে প্রতিবন্ধীতাকে অভিশাপ মেনে নিয়ে তারা অবহেলিত, বঞ্চিত জীবন যাপনে বাধ্য হয়। অনেক সময় তাদের অনাহারে-অর্ধাহারে থেকে দিন পার করতে হয়। অধিকাংশ পরিবারেই প্রতিবন্ধীদের বােঝা হিসেবে গণ্য করা হয়।
সু একজন বাকপ্রতিবন্ধী ছিল৷ বাকপ্রতিবন্ধী এই মেয়েকে নিজের মা পরিবারের বোঝা মনে করতেন। তার মা তাকে নিজের একটি কটি স্বরূপ দেখতেন। কন্যার এই অসম্পূর্ণতা লজ্জার কারণ বলে মনে করতেন। তার মা তাকে নিজের পর্ডের কলঙ্ক মনে করতেন এবং তার প্রতি বিরক্ত হতেন।পক্ষান্তরে, তার বাবা, বশীকণ্ঠ সুকে তার অন্য মেয়েদের অপেক্ষা একটু বেশি ভালােবাসতেনাজ বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় তার কোন বন্ধু-বান্ধব ছিলনা। তার সাথে কেউ মিশতাে না, কথা বলতে চাইতাে না। মুভার থামের লােকজন তাকে নিন্দা করতে শুরু করেছে।
কুভার প্রতি পরিবার ও সমাজের প্রত্যাশিত ইতিবাচক আচরণ :
প্রতিবন্ধীরা আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ তাদেরকে অবহেলায় পিছনে ফেলে রেখে সমাজ এগিয়ে যাবে তা কখনােই সম্ভব নয়। সমাজের অংশ হিসেবে তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। এ দায়িত্ব গুলাে সঠিকভাবে পালন করলে প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয় বরং সম্পদে পরিণত হবে।
সুড়া বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় প্রথমত তার পরিবারকে তার পাশে দাঁড়াতে হত। তার মনােবল বৃদ্ধির জন্য তার মায়ের মানসিকতার পরিবর্তন আনা উচিত ছিল। তিনি সুর যত্ন নিতে পারতেন, ভালােবেসে আগলে রাখতে পারতেন। এছাড়াও মুড়ার সমাজের অন্যান্য মানুষ মুড়ার প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে পারতেন। তারা তাদের সন্তানদের উদ্বুদ্ধ করতে পারতেন সুভাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করার জন্য।
আমার চেনা অথবা জানা একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের বেড়ে ওঠার প্রতিবন্ধকতা সমূহ:
আমাদের আশেপাশে এরকম অনেক শিশু দেখা যায় যারা স্বাভাবিক শিশুদের মত হয়না। তাদের আচার-আচরণ ও দৈহিক গঠন স্বাভাবিকের তুলনায় ধীর এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ সমস্যাগ। এদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ভালােভাবে চোখে দেখতে পায় না। কারও কারও হাঁটাচলা করতে অসুবিধা।
কিছু শিশু আছে যারা ঠিক মত কথা বলতে পারে না। আবার অনেকেই আছে যারা অন্যের কথা শুনতে পায়না। আবার কেউ কেউ আছে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যারা অনেক বড় হয়েও ছােটদের মতাে আচরণ করে। আমার চেনা একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু রয়েছে। সে একা একা তার দিনাতিপাত করে।
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় কেউ তার সাথে মিশে না, খেলে না। এমনকি কেউ তার সাথে কথা বলতে চায় না।
প্রথমত, এদের প্রতিবন্ধকতার প্রধান কারণ হলাে পরিবার। যেকোনাে মানুষের সামাজিক অবস্থান তৈরি হয় পরিবার থেকেই। কিন্তু এই পরিবারই অনেক সময় প্রতিকূলতার সৃষ্টি করে।
সমাজে বিকশিত হওয়ার দ্বিতীয় প্রতিবন্ধকতা হলে সমাজ। কারণ সামাজিক ধ্যান ধারণার উপর নির্ভর করে এইসব শিশুদের ভবিষ্যৎ। আর সমাজই যদি তাদের স্বাভাবিকভাবে গ্রহন না করে, তাহলে এ ধরনের মানুষের জীবনে আরো বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে।
সমবয়সীরা আরেকটা প্রতিবন্ধকতা। দেখা যায়, সমবয়নীরা তাদের সাথে মিশতে চায় না এটিই তাদের বেড়ে উঠার ক্ষেত্রে সবচে বড় প্রতিবন্ধকতা। - বৈষম্য ও কুসংস্কার হলো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমাজে বিকশিত হবার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা সমাজের সর্বস্তরে এরূপ একটি বিশ্বাস আছে যে, প্রতিবন্ধীত্ব একটি অভিশাপ এবং এটি পাপ কাজের শাস্তি। এরূপ বিশ্বাস বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমাজে বিকশিত হতে বাধা সৃষ্টি করে।
একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্তু মানুষেরও সংব্দেনশীল ও অনুভুতিঘবশ মন আহে৷ মন্তব্যটি খুভ ও আমার চেনী/জানা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ করা হলাে :
সুরা বাকপ্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও সে চাইতো তার কিছু বন্ধুবান্ধব থাকুক। যাদের সাথে সে ইশারায় গল্প করবে, মনের ভাব প্রকাশ করবে। সে চায় তার মা তাকে বােঝা না ভাবুক৷ ভালােবেসে যেনাে তাকে কাছে টেনে নেয়। কিন্তু যখন তার ভাগ্যে এসব জুটলাে না, তখন সখ্যতা গড়ে উঠলাে প্রকৃতির সাথে। প্রকৃতি যেনাে তার সকল অভাব পূরণ করে দিতাে, যেনাে তার সাথে কথা বলতাে।
নদীর কলধ্বনি, লােকের কোলাহল, মাঝির গান, পাখির ডাক, তরুর মর্মর-সমস্ত মিশে চারদিকের চলাফের-আন্দোলন-কম্পনের সাথে এক হয়ে সমুদ্রের তরঙ্গের ন্যায় সুর চিরনিস্তব্ধ হৃদয় উপকূলের কাছে এসে ভেঙ্গে পড়তাে। তার বন্ধুত্ব ছিল প্রাণীদের সাথে। গােয়ালের দুটি গাজী, তাদের নাম সর্বশী ও পাঙ্গুলি।
মানুষের সাথে তার ভাবের বিনিময় না হলেও, ভাষাহীন প্রাণী আর প্রকৃতির সাথে ঠিকই হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে মুড়া।
তাই বলা যায়, একজন বিশেষ চার্ষিাসম্পন্ন মানুষেরও সংবেদনশীল ও অনুভূতিপ্রবণ। মন আছে- মন্তব্যটি সুভা ও আমার চেনা/জানা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের পরিপ্রেক্ষিতে যথার্থ।
No comments:
Post a Comment