Breaking

Model Activity Task class 7 History Part 1 2 3 4 Answers


Model Activity Task class 7 History All Part Answers
Model Activity Task


পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক যে সমস্ত মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দেওয়া হয়েছিল, সেই সমস্ত প্রশ্নের নির্ভুল এবং যুক্তিসম্মত উত্তর আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে এই সমস্ত উত্তর গুলিকে ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 আশাকরি, আমাদের এই প্রচেষ্টাটি সকল ছাত্র ছাত্রীরা পছন্দের সহিত গ্রহন করবে। অনুমান করা যেতে পারে যে, 2021 সালের সমস্ত পরীক্ষা (যেমন: মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক) গুলিতে এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক থেকেই প্রশ্ন আসবে তাই আমাদের তরফ থেকে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এইটাই নিবেদন থাকবে যে তােমরা এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর প্রশ্ন এবং উত্তর গুলাে ভালাে করে প্র্যাকটিস করবে।

Model Activity Task Class * * Question and Answers Part *

PDF Download :

Model Activity Task Class 9 Questions PDF Download 👉 :  Click here

Model Activity Task Class 9 Questions PDF Download 👉 :  Click here

Model Activity Task Class 9 Questions PDF Download 👉 :  Click here

Model Activity Task Class 9 Questions PDF Download 👉 :  Click here



FOLLOW TELEGRAM CHANNEL (4k)

LIVE ANSWERS ON YOUTUBE (36k)

DOWNLOAD MADHYAMIK SUGGESTION APP

DOWNLOAD MODEL ACTIVITY TASK APP


Question And Answers:

Model Activity task Part - 1

 ১.সেন যুগে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার এবং প্রসার কমে গিয়েছিলো এই উক্তিটির স্বপক্ষে দুটি বা তিনটি বাক্য লেখ ।

উ:  সেন যুগে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসার কমে যাওয়ার কারণ গুলি নিম্নে আলোচনা করা হল -

    প্রথমত, রাজারা ব্রাহ্মণ ধর্মকে প্রাধান্য দিতেন।
    দ্বিতীয়ত,লক্ষ্মণসেন ছিলেন বৈষ্ণব,তবে তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন শৈব।
    তৃতীয়ত,বৌদ্ধ ধর্ম আগের মতো সুযোগ সুবিধা পেত না।

২. প্রাচীন বাংলায় যে অঞ্চল ও নদীগুলির নাম তুমি দ্বিতীয় অধ্যায় পড়েছ তার একটি তালিকা তৈরি কর

উ:  

অঞ্চলনদী
পুন্ডবর্ধন, বঙ্গ, বঙ্গাল, সমর্ত, সুম।ভাগীরথী, পদ্মা, মেঘনা, অজয়, দামোদর, কংসাবতী।
৩.ভারতের সামন্ততন্ত্র কে একটি ছবি একে বর্ণনা করো। সামন্ত্রতন্ত্র কে ব্যাখ্যা করতে ত্রিভুজ বা পিরামিড আকৃতির জরুরী? 

উ:  
image source-google | image by-asifajhar.files.wordpress.com


      ত্রিভুজটি নিচের দিকে চওড়া হয়েছে তার মানে নিচে অনেক জনগণ তাদের উপরে বেশ কিছু সামন্ত বা মাঝারি শাসক ।শাসকদের উপরে অল্পকিছু মহাসামন্ত আর সবার উপরে রাজা। রাজ্য শাসনের অধিকার এই ভাবেই স্তরে স্তরে ভাগ হয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা কে সামন্ত ব্যবস্থা বলে।

      ভারতের আদি মধ্যযুগের সময়কালে গড়ে ওঠা সামন্ততান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থায় গভীরভাবে রেখাপাত করেছিল ।আমরা যদি সামন্ততন্ত্রের একটি ছবি আঁকি তাহলে তা অনেকটা ত্রিভুজের আকার নেয় ।কেননা এই সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার নিম্ন শ্রেণীর ওপর শোষণকারি ব্যক্তির সংখ্যা উপরের দিকে ক্রমপর্যায় কমতে কমতে প্রধান একজন শাসক না রাজার উপর দাড়াত।ফলে তা স্বাভাবিক ভাবেই অনেকটা ত্রিভুজের মত দেখাত। সবার নীচে ছিল কৃষক,শ্রমিক ও সাধারন শ্রেণী ।তাদের উপরে ছিল বেশ কিছু মাঝারি সামন্ত সামন্ত সবার উপরে রাজা ।এইকারণেই সমন্ততন্ত্র বোঝাতে ত্রিভুজ আকৃতির দরকার হয়।


৪.পাল ও সেন যুগের কি কি ফসল চাষ করা হত তার তালিকা তৈরি করো ।সেই ফসল গুলি কোন কোনটি এখনো চাষ করা হয় ?

উ: পাল ও সেন যুগের প্রধান ফসল ছিল ধান এছাড়া পাট ,সরষে, আখ, নীল চাষের সঙ্গে বিভিন্ন শাক সবজি, পান সুপারি প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হতো।

      সেই ফসল গুলির মধ্যে ধান, সর্ষে, বেগুন, লাউ, কুমড়ো, ঝিঙে, কাঁকরোল ইত্যাদি এখনো চাষ করা হয়।


Model Activity task Part - 2 


১.শশাঙ্ক বৌদ্ধ বিদ্বেষী ছিলেন - এই উক্তিটি ঠিক না ভুল ? তার উত্তরের সাপেক্ষে দুটি অথবা 3টি বাক্য লেখো।

উ:  শশাঙ্ক ধর্মীয় বিশ্বাসের ছিলেন শিবা শিবের উপাসক। আর্য মঞ্জুশ্রিমূলকল্প নামক বৌদ্ধ গ্রন্থের এবং সুয়ান জাং এর বিবরণীতে তাঁকে বৌদ্ধ বিদ্বেষী বলা হয়েছে।
      শশাঙ্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে তিনি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হত্যা করেছিলেন এবং বৌদ্ধ ধর্মের পবিত্র ধর্মীয় স্মারক ধ্বংস করেছিলেন।কিন্তু শশাঙ্কের মৃত্যুর পঞ্চাশ বছর পর চিনা পর্যটক ই - ৎ সিঙ্ এর নজরে পড়েছিল বাংলায় বৌদ্ধ ধর্মের উন্নতি।
      এছাড়াও সুয়ান জাং কর্ণসুবর্ন নগরীর উপকণ্ঠে রক্তমৃত্তিকা বৌদ্ধবিহারের সমৃদ্ধ করেছিলেন।এমনকি কর্ণসুবর্নে বৌদ্ধ ও শৈব উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ ই বসবাস করত। সুতরাং বলা যায় শশাঙ্ক বৌদ্ধ বিদ্বেষী ছিলেন না।

২.সুলতান মামুদের ১৭ বার ভারত আক্রমনের পিছনে প্রকৃত কারণ কি ছিল বলে তোমার মনে হয় ? ( ৭০/৮০টি শব্দে লেখো )

উ:  সুলতান মাহমুদের ১৭ বার ভারত আক্রমন এর পিছনের মূল কারণ ছিল মন্দিরগুলি থেকে কোন সম্পদ লুন্ঠন করে ঘোষণা এবং মধ্য এশিয়ায় তার সামনে রাজ্যে ব্যয় করা আনুমানিক ১০০০ থেকে ১০২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মাহমুদ প্রায় ১৭বার ভারত আক্রমণ করেন।

      এই সকল ধন-সম্পদ লুট করে নিয়ে গিয়ে তার আমলে রাজধানীর গজনী এবং অন্যান্য শহরকে সুন্দর করে সাজিয়ে ছিলেন। সেখানে প্রাসাদ ,মসজিদ ,গ্রন্থাগার তৈরি করেছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন যেখানে শিক্ষকদের বেতন এবং ছাত্রদের বৃত্তির সুযোগ সুবিধা ছিল।

     সুতরাং বলা যায় ভারতের আক্রমণের মূল কারণ ছিল ভারতের ধন করে নিয়ে গিয়ে নিজের সাম্রাজ্যকে সাজিয়ে তোলা বা উন্নতি সাধন করা।

৩. নীচের শব্দ গুলির জন্য দুটি করে বাক্য লেখো -

উ:  
ক)মাৎস্যন্যায় : -

     মাৎস্যন্যায় বলতে দেশে অরাজকতা বা স্থায়ী রাজার অভাবকে বোঝানো হয়। পুকুরের বড়ো মাছ যেমন ছোট মাছ গুলোকে যেমন খেয়ে ফেলে, অরাজকতার সময় তেমন ই শক্তিশালী লোক দুর্বল লোকের উপর অত্যাচার করতো।

খ) ব্রহ্মদেয় : -

    ব্রাহ্মণ দের কিছু জমি দেওয়া হতো,যার কর নেওয়া হতো না।এই জমি দেওয়াকে ব্রহ্মদেয় ব্যবস্থা বলা হতো।

গ) খিলাফত : - 

     মহম্মদের (সা:) পর ইসলাম জগতে কে নেতৃত্ব দেবেন ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।খলিফা ই হলে ইসলামিয় জগতের ধর্মীয় বা রাজনৈতিক নেতা। যেসব অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের ক্ষমতা ছড়িয়ে পড়েছিল,সেই গুলি হলো দার উল ইসলাম।খলিফা এই পুরো দারুল উল ইসলাম এর প্রধান নেতা।তাঁর অধিকারের অঞ্চলের নাম খিলাফত।


Model Activity task Part - 3


1.'সড়ক ই আজম' নির্মাণ করেন - (হুমায়ুন /শেরশাহ/ আকবর )।

উ: শেরশাহ।

2. বীরবলের প্রকৃত নাম ছিল- (বিধান দাস/ চরণ দাস/ মহেশ দাস )।

উ: মহেশ দাস।

3. দহসালা বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন -(আকবর/ শাহজাহান /ওরঙ্গজেব)।

উ: আকবর।

খ. 'ক' স্তম্ভের সাথে 'খ' স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো:

উ:  

'ক স্তম্ভ''খ স্তম্ভ'
মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতাবাবর
হুমায়ূন পরবর্তী আফগান শাসনশেরশাহ
শেরশাহ পরবর্তী মুঘল শাসকহুমায়ূন
দীন-ই-ইলাহীআকবর


গ. দু এক কথায় উত্তর দাও।
1.পানিপথের প্রথম যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল ?

উ:  পানিপথের প্রথম যুদ্ধ হয়েছিল বাবর ও ইব্রাহিম লোদীর মধ্যে 1526 খ্রিস্টাব্দে। এই যুদ্ধে বাবর জয়ী হয়েছিল।

2. পাট্টা ও কবুলিয়ত কি ?

উ:  পাট্টা ও কবুলিয়ত হলো দুই ধরনের দলিল ।এটি শেরশাহ প্রবর্তন করেছিলেন। যে দলের মাধ্যমে চাষীরা নির্দিষ্ট জমিতে চাষের অধিকার স্বীকার করে নিত তাকে বলা হতো পাট্টা। আর যে দলিলের মাধ্যমে সরকারকে ভূমিরাজস্ব অধিকার দিত তাকে বলা হত কবুলিয়ত।

3. দাগ ও হুলিয়া কি ?

উ:  সরকার যে ঘোড়া কিনতো সেই কেনা ঘোড়ার উপর সরকারের প্রতীক চিহ্ন আঁকা থাকতো তাকে বলা হতো দাগ ।আর যাতে প্রত্যেক সৈন্যের বিবরণ, তার কাছে কত ঘোড়া থাকবে এবং তার পরিচয় এর বিবরণ লেখা থাকতো তাকে বলা হতো হলিয়া ।

4.আবুল ফজল কে ছিলেন ?

উ:  আবুল ফজল ছিলেন আকবরের সভাকবি।


Model Activity task Part - 4


1. ক স্তম্ভ সাথে খ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো।

2.বেমানান শব্দটির নিচে দাগ দাও।

উ:  

ক. বিজয়ালয়, দন্তীদুর্গ, প্রথম রাজরাজ, প্রথম  রাজেন্দ্র
খ. বরেন্দ্র , হরিকেল, গৌর ,কনৌজ ,
গ. হলায়ুধ ,জয়দেব ,গোবর্ধন ,উমাপতিধর

3. সংক্ষেপে উত্তর দাও।
ক. পাল সেন যুগে কেমন ভাবে কর আদায় করা হতো ?

উ:  রাজারা উৎপন্ন ফসলের এক ষষ্ঠাংশ কৃষকদের কাছ থেকে কর নিতেন । তারা নিজেদের ভোগের জন্য ফুল, ফল, কাঠ ও প্রজাদের কাছ থেকে কর হিসাবে আদায় করতেন।
    বণিকরা তাদের ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য রাজাকে কর দিত। এই তিন প্রকার কর ছাড়াও নানা রকমের অতিরিক্ত কর ছিল। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রজারা রাজাদের করে দিত। সমগ্র গ্রামের উপরেও কর দতে হতো গ্রামবাসীদের। এছাড়াও হাট ও খেয়া ঘাটের উপরে চাপানো হত |

খ. সেন রাজারা কি সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ? 

উ:  সেন যুগে লক্ষণ সেনের রাজসভার কবি জয়দেব সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যিক | তার গীতগোবিন্দম্ কাব্যের বিষয় ছিল রাধা কৃষ্ণের প্রেমের কাহিনী । লক্ষণ সেনের রাজসভার কবি ধয়ী লিখেছিলেন পবনদূত কাব্য ! এ যুগের আরো তিনজন কবি ছিলেন উমাপতিধর , শরণ ,গোবর্ধন এই পাঁচ জন কবি একসঙ্গে লক্ষণ সেনের রাজসভার পঞ্চরত্ন ছিলেন | সেন যুগের ব্রাহ্মণ্যধর্মী কঠোর অনুশাসন এর সঙ্গে সাহিত্যেরও যোগ ছিল । রাজা বল্লাল সেন ও রাজা লক্ষণ সেনের দু'জনই স্মৃতিশাস্ত্র লিখেছিলেন | বল্লাল সেনের লেখা চারটি বইয়ের মধ্যে দানসাগর ও অদ্ভুতসাগর বই দুটি পাওয়া গেছে লক্ষণ  সেনের মন্ত্রী হলায়ুধ বৈদিক নিয়ম বিষয়ে ব্রাহ্মণ সর্বস্ব নামে একটি বই লিখেছিলেন । অভিধান প্রণেতা সর্বানন্দ এবং গণিতজ্ঞ এবং জ্যোতির্বিদ শ্রীনিবাস ছিলেন সেন যুগের আরো দুজন লেখক! 

4. নিজের ভাষায় লেখো (১০০-১২০ টি শব্দের মধ্যে ):

উ:  বখতিয়ার খলজি বাংলা আক্রমণ এরপর বাংলাতে কি কি পরিবর্তন ঘটেছিল? 
1204 খ্রিস্টাব্দের শেষ বা 1205 খ্রিস্টাব্দে প্রথম দিকে তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খলজি বাংলায় নদীয়া দখল করেছিলেন |
     তুর্কিরা বিনাযুদ্ধে নদীয়া জয় করে এরপর বক্তিয়ার নদীয়া ছেড়ে লক্ষণাবতী অধিকার করে নিজের রাজধানী স্থাপন করেন । বক্তিয়ার খলজির নিজের নতুন রাজ্য কে কয়টি ভাগে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগের জন্য একজন করে শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন এইসব শাসনকর্তা ছিলেন তার সেনাপতি। বখতিয়ার খলজি লোখনৌতে মসজিদ, মাদ্রাসা এবং সুফি সাধকদের আস্তানা তৈরি করেন ।
      লখনৌতি রাজ্যের সীমানা উত্তর দিনাজপুর জেলার দেবকোট থেকে রংপুর শহরে, দক্ষিণে পদ্মা নদী, পূর্বে তিস্তা নদী এবং পশ্চিমে বক্তিয়ার খলজি অধিকৃত বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এরপর বখতিয়ার খলজি তিব্বত আক্রমণ করে রাজ্য বিস্তার করার চেষ্টা করেন কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি ।


2 comments: